নুপুরের দাম হাজার টাকা, কিন্তু তার স্থান পায়ে ৷ টিপের দাম এক টাকা হলেও তার স্থান কপালে....
ইতিহাস সাক্ষী আছে, নুনে কখনো পোকা ধরেনি, কিন্তু মিষ্টিতে তো প্রতিদিনই ধরে, পিঁপড়াও ছাড়েনা।
মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃত মানুষকে স্মরণ করা হয়, আর মোমবাতি নিভিয়ে জন্মদিন পালন করা হয়।
মানুষ সোজা পথে চলতে চায় না আর বাকা পথে সবারই আগ্রহ বেশি। সেজন্যই মদ বিক্রেতাকে কারো কাছে যেতে হয় না,আর দুধ বিক্রেতাকে বাজারে যেতে হয়।
আমরা দুধ বিক্রেতাকে সর্বদা বলি দুধে পানি মেশাননি তো, অথচ মদে মানুষেরাই পানি মিশিয়ে খায়।
আজ পর্যন্ত মানুষকে এটুকুই চিনলাম, জানোয়ার বললে ক্ষেপে যায় কিন্তু বাঘের বাচ্চা বললে খুশি হয়। অথচ দুটোই পশুর বাচ্চা!! মানুষ বড়ই আজব......
খুব তুচ্ছ কারনে যে কারো প্রতি ভালো লাগা তৈরি হতে পারে। কোন মেয়ের ভূবন ভুলানো হাসি দেখে এক মুহুর্তেই তাকে ভালো লেগে যেতে পারে। কিংবা রাস্তায় চলতে ফিরতে সুন্দরী কোন মেয়েকে এক পলক দেখেই যে কোন ছেলের হার্টবিট মিস হয়ে যেতে পারে।
অথবা কোন ছেলে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলে, কিংবা গিটার বাজিয়ে, গান শুনিয়ে কোন মেয়েকে মুগ্ধ করে দিতে পারে। আর তাতে ছেলেটার প্রতি মেয়েটার এক ধরনের অনুভূতি তৈরি হয়।এই অনুভূতিগুলোকে আসলে ভালো লাগা বলে। ভালোবাসা নয়। ভালোবাসা এত সহজে হয়না। একজন মানুষের জন্য ভালোবাসা তৈরী হয় খুব ধীরে ধীরে।
চাইলেই যে কাউকে ভালোবাসা যায়না। চাইলেই যে কাউকে ভালোবাসি বলা যায়না। চাইলেই সব ছেড়ে ছুঁড়ে কেউ একজনের হাত ধরে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করেনা।চাইলেই কেউ একজনের জন্য পুরো পৃথিবীর বিপক্ষে চলে যাওয়া যায়না। সেই কেউ একজন টা খুব স্পেশাল একজন মানুষ হয়। যাকে শুধু ভালোবাসাই যায়।
চোখ বন্ধ করে যার উপর নির্ভর করা যায়। যে অনুভূতি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি হয় তা হারিয়েও যায় খুব দ্রুত। অনুভূতি হারিয়ে গেলে সে মানুষটাও কিছু না বলে চুপি চুপি আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যায়। তখন বুঝতে হবে আপনার প্রতি তার কখনো ভালোবাসা ছিল না। যা ছিল তার পুরোটাই ছিল ভালো লাগা। কারন যাকে ভালোবাসা যায় হুট করে রাস্তার মাঝখানে তার হাত ছেড়ে দিয়ে দূরে চলে যাওয়া যায়না।
বেশিরভাগ মানুষই ভালো লাগা এবং ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য বের করতে পারেনা। আর তাইতো অভিমানী মেয়েটা আজো প্রতীক্ষা করে। নির্ঘুম রাতে বিছানায় শুয়ে ছটফট করে। আর তাইতো বোকা ছেলেটা অক্সিজেনের বদলে বুক ভরে নিকোটিন নেয়। রাত গভীর হলে মেয়েটার নাম্বার বন্ধ জেনেও সে নাম্বারে বার বার ফোন করে অস্থির সময় কাটায়.. ভিডিও টি দেখুনঃ
নিজেকে ভাল রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যপার। এর জন্য কারো কাছে আপনার কোন কৈফিয়ত দে ওয়ার দায় নেই।
বাইরে খেয়ে হইচই করে, সেল্ফি দিতে ভাল লাগে? ওকে! লোকে শো-অফ বলে? বলুক! আপনি যখন বাসায় একলা বসে জীবনের সব প্যাড়ায় ডুবে যেতে থাকেন, তখন তো লোকে আপনাকে চিয়ার আপ করতে আসে না।
হইচই, আড্ডা থেকে দূরে থেকে বাসায় একা একা বই- সিরিজ-ঘুম নিয়ে থাকতেই ভাল লাগে? বেশ! মানুষজন ভাব মারা public বলে? বলুক! হ্যাংআউটে যেয়ে সামাজিক অদক্ষতায় আপনি যখন কোণায় একা বসে, তখন তো কেউ আপনার কথাটা শোনার জন্য আগ্রহ দেখায় না আলাদা করে।
চার বছরের প্রেমিককে ভুলে গেলেন? আপনি তো সেই ক্লাসিক 'হৃদয়হীনা', নিশ্চয়ই শেষে টাকা ওয়ালা জামাই বেছে নেয়াই আপনার উদ্দেশ্য ছিল!
অথচ আপনাদের দুজনের একান্ত ব্যক্তিগত জটিল সম্পকে, আপনার পূর্ব প্রেমিকের ভালবাসা, বিশ্বাস, দায়িত্ববোধ আগের মত ছিল কি না, আপনার নিজস্ব স্বপ্ন দেখায় সে আপনার যোগ্য সংগী
হয়ে উঠতে পেরেছিল কি না, এক সময়ের কেয়ার সন্দেহে আর খোঁজ-খবর রাখার অভ্যাস মানসিক অত্যাচারে পরিণত হয়েছিল কি না এসব কে দেখতে আসছে?
আবার, প্রেমিকাকে ছাড়ার পর পরই সম্পরকে জড়িয়ে পড়েছেন বান্ধবীর সাথে, আপনি নিশ্চয়ই চরিত্রবান কেউ নন। কিন্তু হয় তো আপনার প্রেমিকার অযৌক্তিক দাবি, অকারণ অবুঝপনা আর অনিয়ন্ত্রিত অতি-আবেগের চাপে যখন আপনার উন্মাদ হওয়ার যোগাড় হয়েছিল তখন আপনার মানসিক স্থিতি যুগিয়েছিল এই বান্ধবীই।
কেন পড়াশোনা করেন না? কেন পড়াশোনা করেন? বেগুনী শার্ট কেন পরলেন? কেন প্রেমিককে বাবু আর প্রেমিকাকে বেবি বললেন? কেন বৃষ্টি নিয়ে কবিতা লিখছেন? কেন নিজের রান্না করা খাবারের ছবি দিচ্ছেন? কেন এক-মাস এনিভারসারিতে হাত ধরা ছবি দিলেন? কেন? কেন? কেন?
সহজ কথা- আমার ভাল লাগে, তাই। আমি এসব করে ভাল আছি, তাই।
আপনার সমালোচনা করতে একশ মানুষ আসতে পারে, আপনাকে ভাল রাখতে কেউ আসবে না। এই সমালোচনা তাই অর্থহীন, মল্যহীন। সবাইকে সন্তুষ্ট করার দায় আপনার নেই। একটা সুস্থ নীতি বজায় রেখে আর কারোর ক্ষতি না করে, যা ইচ্ছে হয় নিভয়ে করুন, ভাল থাকুন।
দুই বন্ধু মরুভূমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। কিছুক্ষন যাত্রার পর তাদের দুইজনার মধ্যে ঝগড়া হয় এবং এক বন্ধু আরেকজনকে থাপ্পড় মেরে বসে।
যে থাপ্পড় খেয়েছিল সে মনে কষ্ট পেলেও মুখে কিছু বলল না, শুধু বালিতে লিখে রাখল “আজকে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমাকে চড় মেরেছে”।
এরপর তারা হাঁটতে থাকল এবং কিছুক্ষন পর একটি মরুদ্যান দেখতে পেল। তারা ঠিক করল সেখানে তারা বিশ্রাম নিবে এবং গোসল করবে। কিন্তু যেই বন্ধুটি চড় খেয়েছিল সে চোরাবালিতে আটকে পরে ডুবতে শুরু করে, তখন অপর বন্ধুটি তাকে বাঁচায়। উদ্ধার পাওয়ার পর সে পাথরে লিখে রাখল “আজকে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমার জীবন বাঁচিয়েছে”।
তখন অপর বন্ধুটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা, আমি যখন তোমাকে চড় মেরেছিলাম তখন তুমি বালির উপর লিখেছিলে আর এখন পাথরের উপর লিখলে, কেন?” উত্তরে সে বলল, “যখন কেউ আমাদের আঘাত করে তখন তা আমাদের বালির উপর লিখে রাখা উচিত, যেন ক্ষমার বাতাস তা সহজেই উড়িয়ে নিয়ে মুছে দিতে পারে।
আর যখন কেউ আমাদেরকোন উপকার করে তখন তা পাথরে খোদাই করে রাখা উচিত, যেন কোন বাতাসই তা কখনো মুছে দিতে না পারে”।
নববিবাহিত দম্পতি নতুন বাসা নিয়েছে। পরদিন সকালে তারা যখন নাশতা করছিলো, মেয়েটি জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলো কাপড় শুকাতে দিয়েছে ঐ বাড়ির মহিলা।
মেয়েটি বলে উঠলো, - 'কাপড়টা পরিষ্কার হয়নি, ঐ বাসার মহিলা ভালো করে কাপড় ধুতে জানেনা। তার মনে হয় ভালো কোন কাপড় কাচার সাবান দরকার।" মেয়েটির স্বামী সেদিকে তাকালো, কিন্তু নিশ্চুপ রইলো। যতবারই পাশের বাড়ির মহিলাটি কাপড় শুকাতে দিতো, ততবারই এই মেয়েটি একই মন্তব্য করতো।
মাসখানেক পরে সেই বাড়িতে সুন্দর পরিষ্কার কাপড় শুকানোর জন্য ঝুলতে দেখে মেয়েটি অবাক হয়ে তার স্বামীকে বললো,"দেখো, অবশেষে উনি শিখেছেন কীভাবে ঠিকভাবে কাপড় ধুতে হয়। আমি তো ভাবছি কে তাকে শেখালো!!"
তখন স্বামী বলে উঠলো, "শোনো, আজ ভোরে আমি আমাদের জানালার কাঁচ পরিষ্কার করেছি!" .....
আমাদের জীবনটাও এমনই -- আমরা কোন কিছু দেখার সময় যা দেখি তা নির্ভর করে আমাদের সেই জানালার পরিচ্ছন্নতার উপর, যা দিয়ে আমরা দেখি। কোন সমালোচনা করার আগে আমাদের নিজের মনের অবস্থাটা খেয়াল করে নেয়া প্রয়োজন।
নিজেদেরকে প্রশ্ন করা দরকার যে আমরা কি তার মাঝে কোন ভালো কিছু দেখতে চাই আদৌ? নাকি মানুষটার দিকে তাকাচ্ছি শুধু তার ভুলগুলো খুঁজে বের করার জন্য?
ভালবাসায় বিরহ থাকবে না এটা হতেই পারেনা। ইচ্ছা আর প্রাপ্তির সমন্বয় না হলেই সম্পর্কের মাঝে মান অভিমানের সূচনা হয়। অভিমানের দহন সহ্য করবার ক্ষমতা কেউ কেউ হারিয়ে ফেলে। তখন , হাত পা কাটা , অতিরিক্ত সিগারেট খাওয়া , ঘুমের ঔষধ খাওয়া , নেশায় আসক্ত হওয়া, জিনিষপত্র ভেঙে ফেলা এসব শুরু করে।
যে নিজেকে ভালবাসতে পারে না সে কোন দিন অন্য কে ভালবেসে সুখী করতে পারে না। ভালবাসার প্রথম শর্ত , নিজেকে ভালবাসা। এক জন সুস্থ সবল মানুষ তার প্রিয় মানুষটির জন্য যে কোন কাজ করার শক্তি রাখে। ভালবাসার মানুষটাকে সুখী করার জন্য নিজের যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরী। যে বলে " আমি নিজেকে কষ্ট দেই তোমাকে ভালবাসি বলে" সে ভুল বলে।
নিজেকে সম্মান করা, নিজের প্রতি যত্নশীল ব্যক্তি তার প্রিয় মানুষ এবং তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যত্ন নেবে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। বিরহ কে অতিক্রম করতে না পারলে ভালবাসার সুখটুকু তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে তাই নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। ভালো থাকুন।
ভাত খেতে বসে ভাতের প্লেটে লাথি দিয়ে ছুড়ে ফেলা ছেলেটি আজ তার ছেলের কাছে শান্তিতে দুমুঠো ভাত খেতে পাওয়ার আশা করে। আজ সে বুঝতে পেরেছে প্রকৃতি কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না।
বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করা মেয়েটা আজ আশা করে তার মেয়ের ধুমধামে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দিবে। অথচ আজই তার মেয়ে পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা সমাপ্ত করেছে। ভোরেই কারো হাত ধরে নিরুদ্দেশ হবে। মা টি ভুলে গিয়েছিলো তার অতীত, প্রকৃতি তাই অভিমান করে কাল সকালে সবকিছু মনে করিয়ে দিবে।
ভার্সিটির প্লেবয় টি আজ খুব কষ্টে চাকরী পেয়েছে। তার মনের চাওয়া কেবল একটি সতি মেয়ে বিয়ে করবে। বিয়েও ঠিক হয়ে গেলো। ঘটক এখানে করলো বিশ্বাসঘাতকতা। প্রকৃতি তাকে তার ১৯-২৩ বছর বয়সের অতীত মনে করিয়ে দিবে বাসর রাতে, জানবে মেয়েটিও প্লে-গার্ল খেতাবধারী কেউ বা হয়তো সত্য জানবে না। ভাগ্য তার সাথে করবে নির্মম প্রহসন।
অতীতের ধর্ষক আজ একুশ বছর বয়সী মেয়ের বাবা। আজ ধর্ষিত মেয়ের সামনে দাড়িয়ে সে। প্রকৃতি তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে তার দ্বারা ধর্ষিত সেই মেয়েটির আর্তনাদ।
জীবন কখনো কোনো ভুল ক্ষমা করে না। প্রকৃতি তার সবুজ পাতায় সব লিখে রাখে একসময় ফিরিয়ে দিবে বলে।
আজ আপনি কোনো গরীবের পেটে লাথি দিবেন, অদূর ভবিষ্যতে প্রকৃতি আপনার পেটে লাথি দিবে। There is no injustice in nature.
সকলের প্রাপ্য সে বুঝিয়ে দেয়। সময় থাকতে সাবধান হই। তা না হলে উপরে বর্ণিত প্রেক্ষাপটের শিকার ও সাক্ষী হবো আপনি অথবা আমি।।
আমাদের রোজকার জীবনে, আমাদের প্রতিদিন কিছু না কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
আমাদের সেই বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হয় লক্ষ্যের দিকে। আর সেই সময় প্রয়োজন হয় একটু উৎসাহের, একটু সাহসের , সেই সাহসই আমরা পাই এমন কিছু মানুষের থেকে যারা তাদের জীবনে অনেক বাধা বিপত্তি জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন, এবং আমাদের জন্য উদাহরণ তৈরী করেছেন। এমনই একজন হলেন স্যার এ পি যে আব্দুল কালাম।
যিনি তার জীবনদ্দশায় কেবল মানুষকে নিয়েই ভেবে গেছেন, ভেবে গেছেন দেশকে নিয়ে।
তাঁরই কিছু হৃদয়স্পর্শী মহামূল্যবান উক্তি , যা আপনাকে দিতে পারে সর্ব্বোচ্চ অনুপ্রেরণা।
তবে চলুন জেনে নেয়া যাক, এই মহান ব্যক্তিটির কিছু উক্তি সম্পর্কে
একমুখী ভালো লাগাটা খুব বিপজ্জনক। এক ধরণের ভয়ঙ্কর মানুষ আছে, তারা যখনই টের পাবে তুমি তাকে পছন্দ করো তখনই সে তোমার দুর্বলতার সুযোগ নিবে। কারণ সে জানে, তোমাকে সে এক ফোঁটা পাত্তা না দিলেও বিনিময়ে তুমি তার ১০০% কেয়ার করবা এবং করতেই থাকবা!
ইংরেজিতে একটা Phrase আছেঃ "Taking Anything For Granted" ঐ মানুষটার জন্য তুমি এরকম... That Person Took You For Granted. এটার অর্থ হলো, তুমি ঐ মানুষটার কাছে খুবই সস্তা একটা পণ্য। সে না চাইতেই তোমার কেয়ার পাচ্ছে, তোমার সবটুকু মনোযোগ পাচ্ছে.. তুমি তাকে সময় দিচ্ছো, তোমার সমস্ত আবেগ উজাড় করে দিচ্ছো... সে এই সমস্ত কিছু উপভোগ করছে আর মজা পাচ্ছে!
যখন মানুষটা তোমার কাজে কর্মে টের পেয়ে যাবে, তার প্রতি তোমার অতিরিক্ত ভালো লাগা কাজ করছে, মানুষটার তখন মনে হবেঃ
"বাহ, এমনি এমনিই কেউ একজন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার মত আমার কেয়ার করছে, খোঁজ নিচ্ছে, ঘুরছে, ফিরছে, আবেগ দেখাচ্ছে। কিন্তু দিনশেষে তার সাথে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই, কোন পাল্টা দায়িত্ববোধ নেই, কোন কমিটমেন্ট নেই। বেশ মজা তো.. ভালোই তো লাগছে... চলুক না এমন।
তিতা সত্যিটা এটাই যে, মানুষটা তোমার সঙ্গ উপভোগ করছে। হয়তো তার কোন ভালো বাসার মানুষ আছে, পাশাপাশি সে তোমার সাথেও আছে... সে তোমাকে স্পষ্টভাবে কখনোই জানাবে না, সে তোমাকে ভালোবাসে কিনা, সে তোমার সাথে সম্পর্কে জড়াবে কিনা, সে তোমাকে বিয়ে করবে কিনা... তুমি তাকে সরাসরি প্রশ্ন করলেও লাভ নেই। তোমার প্রশ্নের সহজ উত্তরও সে এড়িয়ে যাবে। হ্যাঁ কিংবা না কিছুই বলবে না!
মানুষটা হয়তো তোমাকে পাত্তা দিবে না, কেয়ার করবে না... কিন্তু কোন ভাবে তোমাকে হাত ছাড়াও করবে না। কোন না কোনভাবে সে তোমাকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করে রাখবে। খাঁচায় আটকে থাকা পাখির মত তুমি ছটফট করবে। সে দেখেও না দেখার ভান করবে!
তুমিও ঐ মানুষটার কাছ থেকে সরে আসতে পারবে না.. কারণ তুমি দুর্বল... ঐ মানুষটার সাধারণ একটা "কেমন আছো?" - শুনেই তুমি আপ্লুত হয়ে যাও... একদিন মানুষটা নিজ থেকে কথা বললেই তুমি ভেবে নেও, মানুষটা তোমাকে কেয়ার করে। কিন্তু সত্যিটা তুমি নিজেও জানো... মানুষটা আসলে তোমাকে এক বিন্দুও ভালোবাসে না... সত্যিটা জেনেও তুমি একদমই মানতে চাও না!
সময় থাকতে এরকম মানুষের কাছ থেকে সরে আসো...। নিজের ভালোর জন্যই সরে আসো...। যে সম্পর্কের কোন নাম নেই, প্রতিশ্রুতি নেই, ভবিষ্যৎ নেই -এমন সম্পর্ক থেকে সরে আসো। হয়তো ভাবছো, তুমি সরে আসতে পারবে না... মানুষটাকে ছাড়া থাকতে পারবে না... তার চেয়ে বরং চলুক না এমন!
ভিডিও টি দেখুনঃ
তোমার এই ভাবনাটাও ভয়াবহ ভুল। তুমি এতটা সস্তা না... তুমি এতটা আত্মসম্মানবিহীন মানুষ না। কেউ একজন তোমার আবেগের সুযোগ নিয়ে তোমার সঙ্গ উপভোগ করবে আর তুমি চুপ করে বসে থাকবে? জেনে শুনে তুমি বিষের পেয়ালাতে চুমুক দিয়ে যাচ্ছো। নিজের জীবনটা এতটা মূল্যহীন না... তাই আরেকবার ভাবো।
তোমার ইগো, আর আমিত্ব এই দুইটা জিনিসের জন্য সেই মানুষটা ভেতরে ভেতরে খুন হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, যে তোমায় নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। অথচ তুমি সেটা টেরই পাচ্ছো না। তুমি টেরই পাচ্ছোনা যে তাকে তুমি আস্তে আস্তে দূরে সরিয়ে দিচ্ছো।
দিনশেষে তোমার ইগো, আমিত্ব হেরে যাবে। ঐ মানুষটার ভালোবাসার কাছে। হেরে যাবে তুমি। একদিন ঐ মানুষটা সত্যিই তোমার লাইফ থেকে আড়াল হয়ে যাবে। তোমার গুরুত্ব বোঝার কেউ থাকবে নাহ। তখন তুমি হয়তো বুঝবেনা তুমি কি হারিয়েছো, কিন্তু তোমার হৃদয়ে তৈরি হওয়া
একটা শূন্যতা, ঠিকই টের পাবে। হৃদয়ের যে জায়গাটায় ঐ মানুষটা ছিলো সেখানে ধুপধুপ করা একটা ব্যথা ঠিকই অনুভব করবে। সেদিন তুমি চাইলেও ঐ মানুষটাকে আর আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারবে না
অনেকে নাকি দুই দিনেই মানুষ চিনে ফেলে, অনেকে দুই মাসে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষকে দুই বছর বা দুই যুগেও চেনা যায় না। মানুষ চেনার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। শুরুর দিকে প্রায় সবাইকে ভালো লাগে, হ্যাঁ, প্রায় সবাইকেই।কারণ এই পৃথিবীর সবাই, নিজের প্রথম ইম্প্রেশনটা ভালো রাখতে চায়। আমি, আপনি, আমরা সবাই।
এমনকি অনেকটা সময় গড়ালেও মানুষ চেনা যায় না। মানুষের আসল রুপ চেনা যায় কখন, জানেন!!নিজের দুঃসময়ে।প্রত্যেকের জীবনে দুঃসময় আসে, এ পৃথিবীর কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না,
সে জীবনে কখনো ডিপ্রেশনে পড়ে নি, বাজে সময় পার করে নি। এই ডিপ্রেশনের সময়টাতে চারপাশের মানুষগুলোর আসল রুপ চেনা যায়। এক সময় ভাবতাম, হয়তো মানুষটা আমাকে অনেক ভালো বুঝে। কিন্তু নিজের দুঃসময়ে আবিষ্কার করলাম, আমি বিশাল ভুল করেছি।
পৃথিবীতে কেউ ভুল মানুষ হিসেবে জন্মায় না। হাতের পাঁচ আঙ্গুলের মত একেকটা মানুষ একেক রকম, সমস্যাটা মানুষে না, সমস্যাটা মানুষের মুখোশে আর আমাদের অবজারভেশনে।
আমার জন্য যে 'ভুল মানুষ' তাকে ঠিক ভেবে, তার সাথে নিজের জীবন জড়িয়ে ফেলাটাই ভুল। তেল আর জল কখনো মেশে না, এটাই বাস্তব। একটা ভুল বেশি করেছি, সেটা মানুষ চিনতে।
কি বিচিত্র, এই মানুষের জীবন যাপন ।আমি তো অন্য কাউ কে জানি না, আমি তোমার কথা বলতে পারবো। আমি দেখেছি তোমাকে খুব কাছে থেকে। তোমার চোখের মাঝে ভালোবাসা দেখেছি আবার সেই তোমাকে নিজের চাহিদার কাছে বিক্রি হয়ে যেতে দেখেছি । আমি দেখেছি তোমার ভালোবাসা নামক বিচিত্র রূপ ।দেখেছি তোমার চলে যাওয়া ।
সত্যিই আমি কিছুটা সময়ের জন্য
নির্বাক হয়ে যাই ।নিজেকে বোঝতে পারিনা জীবনের চাহিদার কাছে মানুষের ভালোবাসার কোন মূল্য নেই! তবে কেন এই ভালোবাসা ?
তবে কেন এই হাজারটা স্বপ্ন দেখা কাউ কে নিয়ে ।যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূর ।যা শুধু কারো কারো কাছে ক্ষণিকের আভিনয়।
আমি ঘৃণা, অভিশাপ এই শব্দ গুলোর সাথে পরিচিত নই, তাই হয়তো তোমাকে ঘৃণা করতে পারবো না । পারবো না অভিশাপ দিতে ।কিন্তু শুভ কামনা রইলো যেখানে থাকো ভালো থেকো । যতটা ভালো থাকার জন্য আমাকে ছেঁড়ে গেছো তার চেয়েও বেশী ভালো থেকো ।
আমি একা একাই পথ চলতে শিখে গেছি। জীবন নামের রাজপথে যেদিন তুমি আমাকে একা রেখেই চলে গিয়েছিলে। সেইদিন থেকে একাকী পথ চলাকে ভালোবেসেই, আজও বেঁচে আছি ।